পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) মঙ্গলবার দু'টি প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) ও দু'টি কোম্পানির রাইটস শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে। যার মোট মূল্য ৭৬২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
আইপিও ছাড়ার অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠান দু'টি হচ্ছে- ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্স লিমিটেড ও বারাকাতুল্লাহ ইলেক্ট্রা ডিনামিটস লিমিটেড।
রাইটস শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে- কন্টিনেন্টাল ইন্সুরেন্স লিমিটেড ও ফুয়াং ফুড লিমিটেডকে।
এর মধ্যে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্স লিমিটেড বাজারে তিন কোটি শেয়ার ছাড়বে। কোম্পানিটি বাজার থেকে পাঁচশ ৫৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
ঢাকায় তিনটি ফাইভ স্টার হোটেল স্থাপনে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। হোটেল তিনটি হচ্ছে- ওয়েস্টিন-টু, লা মেরিডিয়ান ও লাক্সারি কালেকশন।
কোম্পানিটির শেয়ারের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। ইনডিকেটিভ প্রাইস ১৮৫ টাকা এবং ১০টাকায় এর আর্নিং পার শেয়ার ৪.৮০ টাকা।
এর শেয়ারের ব্যাবস্থাপনায় থাকবে ব্র্যাক ইপিএল।
বারাকাতুল্লাহ ইলেক্ট্রো ডিনামিটস লিমিটেড বাজারে দুই কোটি শেয়ার ছেড়ে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
এই অর্থ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে কোম্পানির ৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঋণ পরিশোধের কাজে ব্যয় করা হবে।
এর অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। প্রিমিয়াম ৫০ টাকা। এই শেয়ার ফিক্সড প্রাইস মেথডে বাজরে আসবে।
কোম্পানিটির শেয়ার ব্যবস্থাপনায় থাকবে প্রাইম ফাইন্যান্স।
কন্টিনেন্টাল ইন্সুরেন্স লিমিটেড দুটি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন পেয়েছে। কোম্পানিটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ৬৭ কোটি ৫৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা সংগ্রহ করবে।
এর অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। প্রিমিয়াম ৫০ টাকা।
ফুয়াং ফুড লিমিটেড একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার ছাড়বে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করবে।
এই অর্থ ফুয়াং বেভারেজ ক্রয় এবং কোম্পানির পরিবর্ধন ও ঋণ পরিশোধের কাজে ব্যবহার করা হবে।
এর শেয়ারের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।
পুঁজি বৃদ্ধির বিষয়ে লক ইন
পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর লক্ষ্যে কোম্পানিগুলো বাজারে যে নতুন শেয়ার ছাড়বে তা প্রথম বছর লক ইন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসইসি।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক তারিকুজ্জামান মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, "মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন পাওয়ার পর বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সররা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছিল। এতে শেয়ারের দামে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
এসইসির এক বছরের খতিয়ান
এ বছর এসইসি মোট চার হাজার আটশ ২৭ কোটি টাকার প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ও রাইটস শেয়ারের অনুমোদন দিয়েছে।
গত বছর এর পরিমাণ ছিল সাতশ ৪৭ কোটি টাকা।
২০১০ সালে দুই হাজার তিনশ ৫৫ কোটি টাকার আইপিও ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে অনুমোদন দেওয়া হয় ছয়শ তিন কোটি টাকার আইপিও।
২০১০ সালে রাইটস শেয়ারের অনুমোদন দেওয়া হয় দুই হাজার চারশ ৭২ কোটি টাকার। ২০০৯ সালে এর পরিমাণ ছিল একশ ৪৪ কোটি টাকা।
এ বছর এসইসি মোট ১১টি নতুন আইপিও ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে। গত বছর নয়টি আইপিও ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে এসইসির নির্বাহী পরিচালক তারিকুজ্জামান বলেন, "এ বছর আমরা শেয়ারের যোগানের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।"
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment